বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০৫:২২ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল হক বলেছেন, আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আইন-২০২৪ এর খসড়া প্রণয়ন করা হবে। এতে এআই পলিসি এবং এআই আইনের সমন্বয়ের দিকে খেয়াল রাখা হবে। কারণ পলিসির বাইরে আইন করে লাভ হবে না।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিটিআরসির সম্মেলনকক্ষে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আইন প্রণয়নের জন্য প্রারম্ভিক অংশীজন সংলাপ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আজকে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা থেকে স্পষ্ট যে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) প্রযুক্তির ব্যাপ্তি অনেক ব্যাপক। এর যেমন ভালো দিক রয়েছে তেমনি খারাপ দিকও রয়েছে। তবে এইআই প্রযুক্তি নিয়ে ভীত হওয়ার কিছু নেই। আমরা এর সুবিধাগুলো গ্রহণ করতে চাই। আমি মনে করি, আমরা যেহেতু এটি তৈরি করেছি, সেহেতু এর পরিচালনাও আমরা করতে পারব।
আইনমন্ত্রী বলেন, আজকের আলোচনায় একটি ভালো প্রস্তাবনা এসেছে। সেটি হচ্ছে, এআই পলিসি এবং এআই আইনের মধ্যে সমন্বয় করতে হবে। আগে একটি ড্রাফট দাঁড় করিয়ে তারপর অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করতাম। কিন্তু এই আইনের ব্যাপারে আমরা আপনাদের মতামত সঙ্গে নিয়েই ড্রাফট তৈরি করতে চাই। সেজন্যই আজকের এই আয়োজন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আইন-২০২৪ প্রণয়নের জন্য একটি আউটলাইন ড্রাফট তৈরি করে আবারো অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করা যেতে পারে।
তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আইনের মধ্যে যথেষ্ট নমনীয়তা থাকবে উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, আমার একটি পরামর্শ হচ্ছে, আইনটির মধ্যেই যথেষ্ট নমনীয়তা থাকতে হবে। রেগুলেশনের জায়গায় আমরা শক্ত হতে পারি, কিন্তু বাকি জায়গাগুলোতে নমনীয় হতে হবে। সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই একটি চূড়ান্ত ড্রাফট তৈরি করব।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ।